কুড়িগ্রাম সদর উত্তর জনপদের একটি আলোকিত উপজেলা। ভারতের পাহাড় থেকে বাংলাদেশের সমতলে নেমেই এ উপজেলায় মিলিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমর, ধরলা, ফুলকুমর ও গঙ্গাধর যেন এক দিগমত্মজোড়া মোহনা সৃষ্টি করেছে। নদীগুলি বর্ষায় ও ধরলা শীতকালে ভেঙ্গে আর শীতক্লীষ্ট হয়ে জীবন এখানে অনেকটাই কঠিন।
মৎস্য আর কৃষিজ সম্পদে অপার সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল এ উপজেলা। মানুষগুলি সরল ও অতিথির পরায়ন। প্রকৃতি এখানে নিবিড় শ্যামলিমায় মায়ায় জড়ানো।
দারিদ্র বিমোচনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা দেশ ও জাতির জন্য এখন মাইল ফলক। এ উপজেলার মানুষ সৃষ্টি করেছেন অন্যন্য সাধারণ কিছু দেশপ্রেমমূলক দৃষ্টামত্ম। প্রশাসনের উদ্যোগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মা মাছ ও পোনা মাছ রক্ষার্থে১লা বৈশাখ হতে ৩০ শে আষাঢ় মাস পর্যমত্ম ৩ মাস ২৭৬ বঃ কিঃ কিঃ এলাকায় ২৬৬ টি মাছ ধরেননি। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমর, ফুলকুমর ও গঙ্গাধর নদীতে রূপায়িত হয়েছে সমৃদ্ধ সোনার বাংলার রূপ। ফিরে এসেছে বিরল প্রজাতির মাছগুলি, স্মৃতিতে ফিরে এসেছে মাছে ভাতে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের শৈশব গাঁথা।
স্বাবলম্বীতা অর্জন ও সতন্বিত প্রয়াস হিসাবে উপজেলায় গড়ে উঠেছে সমবায় ভিত্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ ‘‘উজ্জ্বল কুড়িগ্রাম’’। ১৩৫ টি সমিতির মাধ্যমে অদ্যাবধি সঞ্চিত প্রায় ৯০ লক্ষটাকার এই উদ্যোগ বৃহত্তর আঙ্গিকে জাতি গঠনে একটি টেকসই প্রসত্মাবনা।
ন্যাশনাল সার্ভিসের সদস্যদের আত্ননির্ভরশীল করতে ও ক্ষুদ্রউদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে আর একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান ‘‘মধুরিমা’’। সদস্য প্রতি মাত্র ২০০ টাকা গ্রহণ করে ২০ লক্ষটাকার এ প্রতিষ্ঠানে সদস্যগণ কমমূল্যে পণ্য ক্রয় করেন, লাভ সমভাবে ভাগ করা হয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রিত হয়। সর্বোপরি সঞ্চিত অর্থবিনিয়োগ করে তৈরী হচ্ছে অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
কুড়িগ্রামের ১৫,০০০ সদস্য মাত্র ৩ টাকা মাস প্রতি দিয়ে তৈরী হয়েছে ঝুঁকি তহবিল। অগ্নিকান্ড, দূর্ঘটনা, আকস্মিক মৃত্যু। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ইত্যাদি কারণে হঠাৎ পরমুখাপেক্ষী হবার পরিস্থিতিতে এককালীন অনুদান দিয়ে বহু পরিবারকে করা হচ্ছে স্বাবলম্বী।
মাননীয় সংসদ সদস্যসহ রাজনীতিবিদগণ, জনপ্রতিনিধিগণ, সরকারী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকক, সুশীল সমাজ সব মিলে এখানে একটি ভিত্তি । একটি কন্ঠ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা যেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার একটি বিদ্যালয়।
---- ইউএনও
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস